ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ০:১৮:৫৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি, মাছ-মাংসে আগুন আরও ২ দিন দাবদাহের পূর্বাভাস আজ থেকে বাড়ছে ট্রেনভাড়া, দেখে নিন কোন রুটে কত ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০ আজ যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৩ বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

৫শ রূপি সাহায্য চেয়ে ৫৫ লাখ রূপি পেলেন এক নারী ! 

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫১ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

গিরিজা হরিকুমার (বাঁয়ে) সুভদ্রার জন্য সাহায্য চেয়ে শুক্রবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।

গিরিজা হরিকুমার (বাঁয়ে) সুভদ্রার জন্য সাহায্য চেয়ে শুক্রবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।

ভারতীয় এক নারীর ক্ষুধার্ত বাচ্চাদের খাবার কিনে দেয়ার জন্য সাহায্য চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার পর ওই নারীর জন্য লাখ লাখ রূপি সাহায্য পাঠিয়েছে বহু অচেনা মানুষ।

দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের ৪৬ বছর বয়সী অধিবাসী সুভদ্রা তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্ন সংস্থান করতে পারছিলেন না। খাদ্য কেনার জন্য সুভদ্রা তার ছেলের শিক্ষিকার কাছে মোটে ৫শ রূপি সাহায্য চেয়েছিলেন।

তার এই দুরবস্থা দেখে ওই শিক্ষিকা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে একটি প্রচারণা শুরু করেন। গত রবিবার নাগাদ ওই পরিবারটি ৫৫ লাখ রূপি সাহায্য পেয়েছে।

গত অগাস্ট মাসে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অন্ন সংস্থান করতে হিমশিম খাচ্ছেন সুভদ্রা। তিনি শুধু তার এই নামটুকুই বলেছেন। তিনি কোন চাকরি খুঁজতে পারছিলেন না কারণ তার তিন ছেলের মধ্যে ছোটটি সেরেব্রাল প্যালসিতে আক্রান্ত। তাকে সারাক্ষণ দেখাশোনা করতে হয়।

গত শুক্রবার সুভদ্রা তার মেঝো ছেলের স্কুলের শিক্ষিকা গিরিজা হরিকুমারের কাছে গিয়ে বলেন, ছেলেদের খেতে দেয়ার মত কিছু আর নেই তার ঘরে।

হিন্দি ভাষার শিক্ষিকা হরিকুমার মিডিয়াকে জানান, তিনি তার ছাত্র অভিষেকের কাছে আগেও জানতে চেয়েছিলেন যে বাবার মৃত্যুর পর তারা কোন সমস্যায় আছে কি না। কিন্তু এই প্রথম অভিষেক বা তার মা সাহায্যের হাত পেতেছে।

তিনি বলেন, আমি তাকে এক হাজার রূপি দেই এবং বলি আমি কিছু একটা করব।

তারপর তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং দেখেন তারা হতদরিদ্র অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

শিক্ষিকা হরিকুমার বলেন, তাদের রান্নাঘরে সামান্য কিছু খাদ্যশস্য আছে, শিশুদের খাওয়ার মত কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, তখন আমি ভাবলাম, সুভদ্রাকে সামান্য কিছু সাহায্য দেয়ার কোন মানে নেই। কারণে এতে তার পরিবারের তেমন কোন উপকার হবে না।

পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় পরিবারটির অবস্থা জানিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট লেখেন হরিকুমার এবং সবার কাছে আহ্বান জানান সম্ভব হলে কিছু সাহায্য সহযোগিতা করতে।

ওই পোস্টে সুভদ্রার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও উল্লেখ করে দেন তিনি। যাতে সাহায্য সরাসরি সুভদ্রার কাছে গিয়েই পৌঁছায়। গত সোমবারের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। এরই মধ্যে সুভদ্রার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ৫৫ লাখ রূপি।

এই টাকার কিছুটা সুভদ্রাদের অসমাপ্ত বাড়ির কাজ শেষ করতে খরচ হবে। এই বাড়িটার কাজ তার স্বামী মৃত্যুর আগে শুরু করে গিয়েছিলেন। বাকিটা ব্যাংকেই জমা থাকবে তাদের খরচ চালানোর জন্য। সাহায্য করার আবেদনটি এখন অবশ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি অনলাইন বাংলা